
নিউজ ডেস্ক,উখিয়া নিউজ ডটকম::
কাঠে খোদাইকৃত পৃথিবীর সর্ববৃহৎ পবিত্র কোরআন শরিফের কথা হয়তো অনেকেরই অজানা।কাঠে খোদাইকৃত পৃথিবীর সর্ববৃহৎ পবিত্র কোরআন রয়েছে ইন্দোনেশিয়ার দক্ষিণ সুমাত্রা প্রদেশের পালেমবাঙ্গেতে। কাঠের ওপর খোদাইকৃত পবিত্র কোরআনের প্রতি পৃষ্ঠার দৈর্ঘ্য ১.৭৭ মিটার ও প্রস্থ ১.৪০ মিটার। অর্থাৎ ৫.৮ ফুট দৈর্ঘ্য ও ৪.৬ ফুট প্রস্থ।
এমন পবিত্র কোরআনের পাণ্ডুলিপি প্রস্তুতকারক সাফওয়াতিল্লাহ মোহজাইব বলেন, ৩০ পারা পবিত্র কোরআনের এই পাণ্ডুলিপি তৈরি করতে ৯ বছর সময় লেগেছে। প্রয়োজনীয় কাঠ ও অর্থের অভাবেই মূলত কাজ নির্ধারিত সময়ে শেষ করতে দেরি হয়েছে।
পাঁচতলাবিশিষ্ট এই বিশাল পবিত্র কোরআনটি পেলামবাঙ্গের আল-ইহসানিয়া গান্দুস বোর্ডিং স্কুলের আল-কোরআন আল-আকবর জাদুঘরে রাখা হয়েছে। ২০১১ সালে ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট সুসিলো বাম্বাং জুহোয়ানোও বৃহদাকারের এ পবিত্র কোরআন প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন।

প্রতিদিন পবিত্র কোরআনটির প্রদর্শনী দেখতে প্রচুর দর্শনার্থী হাজির হন। বর্তমানে ইন্দোনেশীয় নাগরিকদের কাছে আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দু এই পবিত্র কোরআন। সাফওয়াতিল্লাহর ভাষ্যানুযায়ী, ২০১২ সাল থেকে কমপক্ষে ১০ লাখ দর্শনার্থী পবিত্র কোরআনটি পরিদর্শন করেছেন।
পাঠকের মতামত